শীতের সময়ে অজু করা অনেকের কাছে কষ্টকর। অথচ শীতের অজু বড় সওয়াবের কাজ। হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘আমি কি তোমাদের এমন কিছু শিখিয়ে দেব না; যার কারণে আল্লাহ তাআলা পাপ মোচন করবেন এবং জান্নাতে তোমাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন?

সাহাবায়ে কেরাম বললেন, হ্যাঁ আল্লাহর রাসুল! রাসুল (সা.) বললেন, মন না চাইলেও ভালোভাবে ওজু করা, অধিক পদক্ষেপে মসজিদে যাওয়া এবং এক নামাজের পর আরেক নামাজের জন্য অপেক্ষা করা।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৫১) শীতকালের দীর্ঘরাতে একজন মুমিন যেমন পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমিয়ে আবার তাহাজ্জুদের নামাজ আদায়, কোরআন তেলাওয়াত ও জিকির-আহকার করা সময় পায়, তেমনি শীতল আবহাওয়ার ছোট দিনে নফল রোজা পালনও তার জন্যে হয়ে উঠে সহজ।এ মর্মে হজরত উমর (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে বলা হয়েছে, ‘শীতকাল ইবাদতকারীদের জন্য গণিমতস্বরূপ।

আমির ইবন মাসউদ (রা.) বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, শীতকালের গনিমত হলো- শীত কালের রোজা। এ ছাড়া শীতকালে আরও কিছু ইবাদত করে নেকি অর্জনের সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে নারীদের।

তিরমিজি শরীফে বর্ণিত অন্য আরেক হাদিস এসেছে, আমির ইবন মাসউদ (রা.) বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, শীতকালের গনিমত হলো- শীত কালের রোজা।

এ ছাড়া শীতকালে আরও কিছু ইবাদত করে নেকি অর্জনের সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে নারীদের। নারীরা তাদের সংসারে অনেক কাজই করে থাকেন।

সন্তান-সন্তুতি থেকে শুরু করে স্বামী ও পরিবারের অন্য সদস্যদের অনেক কাজে নারীরা সহযোগিতা করে থাকেন। এসব কাজ আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং নেকির উদ্দেশে করা দরকার।